Tuesday, October 29, 2019

বাবা

জীবজগতে প্রতিটা প্রাণীরই নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। কিছু প্রাণী বাবা হিসেবে অতুলনীয়। যেমন রাজপেঙ্গুইন। অ্যান্টার্কটিকার বাসিন্দা এই পাখির বেলায় দেখা যায়, স্ত্রী পেঙ্গুইন একটি মাত্র ডিম পাড়ে। ওই ডিম পেড়েই সে খালাস। ডিম ফোটানো থেকে শুরু করে ছানা লালন-পালনের পুরো কাজ করে থাকে পুরুষটি। ডিমটাকে বাবা রাজপেঙ্গুইন দুই পায়ের পাতার ওপর তুলে পেটের পালক দিয়ে ঢেকে ওম দিতে থাকে। কষ্ট যতই হোক, পায়ের পাতা থেকে মুহূর্তের জন্য ডিম পড়তে দেয় না সে। কারণ, বরফের পরশ পাওয়ামাত্র ডিম জমে যাবে। ছানা আর ফুটবে না। রাজপেঙ্গুইন বাবা এভাবে টানা চার মাস এক ঠায় ডিম আগলে রেখে তা দেয়। এ সময় এক-আধটু বরফ ছাড়া আর কিছু খায় না সে। ছানা না ফোটা পর্যন্ত থাকে এভাবেই।
পাখির মধ্যে বাবা কিউইও দায়িত্ব পালনে বেশ সচেতন। ১০-১২টি ডিম পাড়ে মা কিউই। বাবা বসে যায় তা দিতে। ডিম ফুটতে মাস দুয়েক লাগে। এই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকে বাবাটি। ডিমে শুধু চুপচাপ বসেই থাকে না বাবা। দিনে বেশ কয়েকবার প্রতিটা ডিম উল্টেপাল্টে দেয়, যাতে সবদিকে সমান তাপ লাগে। ডিম ফুটে ছানা বের হওয়ার পর বাবা কিউইয়ের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। কমপক্ষে আরও ছয় মাস ছানাগুলোকে লালন-পালন করে সে।
আরেক দায়িত্বশীল বাবা সিহর্স। যাকে আমরা ঘোড়া মাছ বলি। স্ত্রী সিহর্স পুরুষ সিহর্সের বিশেষ থলেতে ডিম পেড়ে দায়মুক্ত হয়। তারপর সে ডিম ফোটানো আর পোনা লালন–পালন সবই পুরুষটির দায়িত্ব।
প্রাণীজগৎ হাতড়ালে এমন আরও অনেক বাবা পাওয়া যাবে, যাদের সর্বসেরা প্রাণী মানুষের মতো বিচার-বিবেচনা নেই।
 প্রশিক্ষণ বা তালিম দিয়ে কি মমত্ববোধ, সহমর্মিতাবোধ, মানবতাবোধ—এসব মানবিক গুণ শেখানো যায়? এসব তো অন্তরের বিষয়। এগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসারিত হয়। আর শিখতেই যদি হয়, তাহলে প্রশিক্ষণ কেন, এক কাকের কাছেই তো শেখা যায়। গাছের ডালে বাঁধা বাসা থেকে কখনো একটি কাকের ছানা নিচে পড়ে গেলে এলাকার তাবৎ কাক এসে কা কা করে যে মাতম তোলে, সহমর্মিতার উদাহরণ কি এর চেয়ে বড় হতে পারে? ছোটবেলায় ইতিহাস বইয়ে পড়েছি অসুস্থ ছেলে হুমায়ুনের জন্য বাবা সম্রাট বাবরের ব্যাকুলতা। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনে নিজের আয়ুর বিনিময়ে সন্তানের সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। আর কী আশ্চর্য, অসুস্থ হুমায়ুন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন, আর বাবা বাবর ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। একসময় পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন তিনি। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেন তিনি। সন্তানের জন্য কল্যাণময় একজন বাবার এই শাশ্বত রূপটিই অটুট দেখতে চাই। চাই না একজন বাবার মধ্যে হিংস্র বাঘের রূপ, যে ক্ষুধা নিবারণে প্রয়োজনে শাবককে সাবাড় করতেও দ্বিধা করে না।

source

Saturday, October 26, 2019

জেজু আইল্যান্ড


জেজু দ্বীপ বা জেজু-ডো দক্ষিণ কোরিয়ার সর্ববৃহৎ দ্বীপ এবং ক্ষুদ্রতম প্রদেশ। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ। ২০০৭ সালে ইউনেস্কো জেজু দ্বীপকে বিশ্বের আদি নিদর্শন স্তানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বহু সংখ্যক দ্বীপ রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে জেজু দ্বীপ অবস্থিত। পশ্চিম থেকে পূর্বে এটির দৈর্ঘ্য ৭৩ কিলোমিটার এবং উত্তর তেকে দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৩১ কিলোমিটার। এর আয়তন ১৮৪৬ বর্গ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ১ হাজার ৯৫০ মিটার। জেজু দ্বীপটি গঠিত হয়েছে ৩৬০টি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে। ভূতত্ত্ববিদ জি.সি. রবার্টের ভাষ্য অনুযায়ী প্রায় ২০ লাখ বছর আগে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি। জেজু দ্বীপটিকে দূর থেকে দেখতে অতি চমৎকার। সুপ্ত আগ্নেয়গিরির সমন্বয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি, যে কারণে ১৯১০ সালে জেজু দ্বীপকে ডাকা হতো জি.জি ক্যাডা নামে। স্থানীয় জনগণের ভাষ্য মতে, জি.জি ক্যাডা মানে আগ্নেয়গিরি১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্যাডার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় জেজু দ্বীপ। কখন কখন এটিকে সামাদো দ্বীপ বলেও অভিহিত করা হয়।
জেজু দ্বীপের নাম পরিবর্তন হলেও এর আয়তন পরিমাপ করতে আরও অনেক বছর সময় লেগে যায়। ১৯৫৫ সালের দিকে জেজু দ্বীপটির আয়তন পরিমাপ করা হয়। সমুদ্রের কূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার ভেতরে অবস্থান হওয়ায় সহজে জেজু দ্বীপে যাওয়া যায় না। জাহাজ কিংবা বড় কোনো নৌযান নিয়ে জেজু দ্বীপে যেতে হয়। জেজু দ্বীপে কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপ ছাড়াও রয়েছে এক বা একাধিক পাহাড়। জেজু দ্বীপে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ পাহাড় হ্যালোসান দক্ষিণ কোরিয়ার সর্বোচ্চ বিন্দু। জেজু দ্বীপে রয়েছে দুর্লভ প্রজাতির ডাইসন, বিরল প্রজাতির সাপ ও হনুমান।



প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ এই দ্বীপটির নাম হচ্ছে ‘জেজু আইল্যান্ড’ মানে জেজু দ্বীপ। পুরো দুনিয়ার সাতটি আশ্চর্যের মধ্যে জেজু দ্বীপ জায়গা করে নিয়েছে ২০১১ সালে। কোরিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপ এটি। কোরিয়ানরা উচ্চারণ করে ‘জেজু-দো’ বলে। বলা হয় আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে এই দ্বীপটির সৃষ্টি হয়েছে। যে পাহাড় থেকে আগ্নেয়গিরি অগ্নুপাত হয়ে জেজু দ্বীপের সৃষ্টি হয়েছিল, তার নাম ‘হাল্লাসান’ পাহাড়। এই পাহাড়কেই জেজুর প্রাণকেন্দ্র বলা হয়। আর পুরো কোরিয়াতে জেজুর কমলা খুব বিখ্যাত।
যেহেতু দ্বীপ, সেক্ষেত্রে হয় আকাশপথে না হয় পানিপথে যেতে হবে।
 




Population - 692,032(2018)
Area 1,826 km2 (705 sq mi)
Length 73 km (45.4 mi)
Width 31 km (19.3 mi)
Highest elevation 1,950 m (6,400 ft)
Highest point Hallasan





ইউরোপের ৮ দেশের ভিসা দেবে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস

ঢাকায় সুইডিশ দূতাবাসের সহযোগিতায় বহুজাতিক ভিসা প্রসেসিং সার্ভিস সংস্থা ভিএফএস গ্লোবাল আগামী মঙ্গলবার থেকে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ...