জীবজগতে প্রতিটা প্রাণীরই নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। কিছু প্রাণী বাবা হিসেবে
অতুলনীয়। যেমন রাজপেঙ্গুইন। অ্যান্টার্কটিকার বাসিন্দা এই পাখির বেলায় দেখা
যায়, স্ত্রী পেঙ্গুইন একটি মাত্র ডিম পাড়ে। ওই ডিম পেড়েই সে খালাস। ডিম
ফোটানো থেকে শুরু করে ছানা লালন-পালনের পুরো কাজ করে থাকে পুরুষটি। ডিমটাকে
বাবা রাজপেঙ্গুইন দুই পায়ের পাতার ওপর তুলে পেটের পালক দিয়ে ঢেকে ওম দিতে
থাকে। কষ্ট যতই হোক, পায়ের পাতা থেকে মুহূর্তের জন্য ডিম পড়তে দেয় না সে।
কারণ, বরফের পরশ পাওয়ামাত্র ডিম জমে যাবে। ছানা আর ফুটবে না। রাজপেঙ্গুইন
বাবা এভাবে টানা চার মাস এক ঠায় ডিম আগলে রেখে তা দেয়। এ সময় এক-আধটু বরফ
ছাড়া আর কিছু খায় না সে। ছানা না ফোটা পর্যন্ত থাকে এভাবেই।
পাখির মধ্যে বাবা কিউইও দায়িত্ব পালনে বেশ সচেতন। ১০-১২টি ডিম পাড়ে মা কিউই। বাবা বসে যায় তা দিতে। ডিম ফুটতে মাস দুয়েক লাগে। এই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকে বাবাটি। ডিমে শুধু চুপচাপ বসেই থাকে না বাবা। দিনে বেশ কয়েকবার প্রতিটা ডিম উল্টেপাল্টে দেয়, যাতে সবদিকে সমান তাপ লাগে। ডিম ফুটে ছানা বের হওয়ার পর বাবা কিউইয়ের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। কমপক্ষে আরও ছয় মাস ছানাগুলোকে লালন-পালন করে সে।
আরেক দায়িত্বশীল বাবা সিহর্স। যাকে আমরা ঘোড়া মাছ বলি। স্ত্রী সিহর্স পুরুষ সিহর্সের বিশেষ থলেতে ডিম পেড়ে দায়মুক্ত হয়। তারপর সে ডিম ফোটানো আর পোনা লালন–পালন সবই পুরুষটির দায়িত্ব।
প্রাণীজগৎ হাতড়ালে এমন আরও অনেক বাবা পাওয়া যাবে, যাদের সর্বসেরা প্রাণী মানুষের মতো বিচার-বিবেচনা নেই।
প্রশিক্ষণ বা তালিম দিয়ে কি মমত্ববোধ, সহমর্মিতাবোধ, মানবতাবোধ—এসব মানবিক গুণ শেখানো যায়? এসব তো অন্তরের বিষয়। এগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসারিত হয়। আর শিখতেই যদি হয়, তাহলে প্রশিক্ষণ কেন, এক কাকের কাছেই তো শেখা যায়। গাছের ডালে বাঁধা বাসা থেকে কখনো একটি কাকের ছানা নিচে পড়ে গেলে এলাকার তাবৎ কাক এসে কা কা করে যে মাতম তোলে, সহমর্মিতার উদাহরণ কি এর চেয়ে বড় হতে পারে? ছোটবেলায় ইতিহাস বইয়ে পড়েছি অসুস্থ ছেলে হুমায়ুনের জন্য বাবা সম্রাট বাবরের ব্যাকুলতা। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনে নিজের আয়ুর বিনিময়ে সন্তানের সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। আর কী আশ্চর্য, অসুস্থ হুমায়ুন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন, আর বাবা বাবর ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। একসময় পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন তিনি। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেন তিনি। সন্তানের জন্য কল্যাণময় একজন বাবার এই শাশ্বত রূপটিই অটুট দেখতে চাই। চাই না একজন বাবার মধ্যে হিংস্র বাঘের রূপ, যে ক্ষুধা নিবারণে প্রয়োজনে শাবককে সাবাড় করতেও দ্বিধা করে না।
source
পাখির মধ্যে বাবা কিউইও দায়িত্ব পালনে বেশ সচেতন। ১০-১২টি ডিম পাড়ে মা কিউই। বাবা বসে যায় তা দিতে। ডিম ফুটতে মাস দুয়েক লাগে। এই দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকে বাবাটি। ডিমে শুধু চুপচাপ বসেই থাকে না বাবা। দিনে বেশ কয়েকবার প্রতিটা ডিম উল্টেপাল্টে দেয়, যাতে সবদিকে সমান তাপ লাগে। ডিম ফুটে ছানা বের হওয়ার পর বাবা কিউইয়ের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। কমপক্ষে আরও ছয় মাস ছানাগুলোকে লালন-পালন করে সে।
আরেক দায়িত্বশীল বাবা সিহর্স। যাকে আমরা ঘোড়া মাছ বলি। স্ত্রী সিহর্স পুরুষ সিহর্সের বিশেষ থলেতে ডিম পেড়ে দায়মুক্ত হয়। তারপর সে ডিম ফোটানো আর পোনা লালন–পালন সবই পুরুষটির দায়িত্ব।
প্রাণীজগৎ হাতড়ালে এমন আরও অনেক বাবা পাওয়া যাবে, যাদের সর্বসেরা প্রাণী মানুষের মতো বিচার-বিবেচনা নেই।
প্রশিক্ষণ বা তালিম দিয়ে কি মমত্ববোধ, সহমর্মিতাবোধ, মানবতাবোধ—এসব মানবিক গুণ শেখানো যায়? এসব তো অন্তরের বিষয়। এগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসারিত হয়। আর শিখতেই যদি হয়, তাহলে প্রশিক্ষণ কেন, এক কাকের কাছেই তো শেখা যায়। গাছের ডালে বাঁধা বাসা থেকে কখনো একটি কাকের ছানা নিচে পড়ে গেলে এলাকার তাবৎ কাক এসে কা কা করে যে মাতম তোলে, সহমর্মিতার উদাহরণ কি এর চেয়ে বড় হতে পারে? ছোটবেলায় ইতিহাস বইয়ে পড়েছি অসুস্থ ছেলে হুমায়ুনের জন্য বাবা সম্রাট বাবরের ব্যাকুলতা। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনে নিজের আয়ুর বিনিময়ে সন্তানের সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি। আর কী আশ্চর্য, অসুস্থ হুমায়ুন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠলেন, আর বাবা বাবর ক্রমে অসুস্থ হয়ে পড়লেন। একসময় পৃথিবী থেকেই বিদায় নিলেন তিনি। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলেন তিনি। সন্তানের জন্য কল্যাণময় একজন বাবার এই শাশ্বত রূপটিই অটুট দেখতে চাই। চাই না একজন বাবার মধ্যে হিংস্র বাঘের রূপ, যে ক্ষুধা নিবারণে প্রয়োজনে শাবককে সাবাড় করতেও দ্বিধা করে না।
source