গাউছুল
আযম বড় পীর হজরত আবদুল কাদের জিলানী (র.)-এর ওফাত দিবস বিশ্বের মুসলমানের কাছে
‘ফাতিহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত।
ফাতেহা অর্থ দোয়া, আর ইয়াজদাহম অর্থ এগারো রবিউস সানি।
হযরত আব্দুল
কাদের জিলানী (রহ.) ৪৭০ হিজরিতে ইরাকের জিলান নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা সায়্যেদ আবু সালেহ (রহ.) একজন বিখ্যাত বুজুর্গ ছিলেন। মাতা উম্মুল খায়ের ফাতেমা (রহ.) একজন বিদুষী রমণী ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি মায়ের কাছে পবিত্র কোরআনের আঠারো পারা পর্যন্ত মুখস্থ করেন। অল্প বয়সেই সমস্ত কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হন। পিতার নিকট সূফীবাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন। পিতার মৃত্যুর পর ১৮ বছর বয়সে তত্কালীন মুসলিম দর্শনের বিদ্যাপীঠ মাদরাসায়ে নিজামিয়াতে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। ২৪ হতে ৯১ বছর অর্থাত্ মৃত্যুর পূর্বদিন পর্যন্ত অবিরাম ইসলাম প্রচার ও প্রসারে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি কাদেরিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ধর্মীয় সভা-সমাবেশে মানুষের আত্মশুদ্ধি ও আত্মউন্নতির জন্য উপদেশ দান করেছেন। অনেক মহামূল্যবান গ্রন্থ রচনা করে গিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: গুনিয়াতুত ত্বলেবীন, সিররুল আসরার, আল ফাতহুর রব্বানী, ফাতহুল গুয়ুব এবং আল-কাসিদা নামে একটি কাব্যগ্রন্থ। এই সমস্ত গ্রন্থ পৃথিবীর
২৩টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
No comments:
Post a Comment