Friday, September 13, 2024

মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে। এটি কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি শাখা, যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তাশক্তিকে কম্পিউটার দ্বারা অনুকৃত করার চেষ্টা করা হয়ে থাকে।
এআইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য  হলো মানুষের ক্ষমতা অনুকরণ করা।

বিশ্বের যত সৃষ্টি আছে তার মধ্যে মানুষকে আলাদা করা যায় যে বৈশিষ্ট্যটির কল্যাণে, তা হলো তার বুদ্ধিমত্তা। এখন এই বুদ্ধিমত্তা বলতে আমরা কী বুঝি? প্রকৃতপক্ষে, বুদ্ধিমত্তা বলতে আমরা বুঝি কোনো নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ধারণা করতে পারা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারা, পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারা এবং তা কাজে লাগিয়ে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করা ইত্যাদি গুণের একটি সামগ্রিক রূপ। যার মধ্যেই উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো দৃশ্যমান তাকেই আমরা বুদ্ধিমান হিসেবে আখ্যায়িত করতে পারি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাকার্থি (John McCarthy) ১৯৫৫ সালে। এজন্য তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। তারও আগে ১৯৫০ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ অ্যালান টুরিং (Alan Turing) কোনো যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাচাই করার জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন যা ‘টুরিং টেস্ট (Turing Test)’ নামে পরিচিত।

মানুষের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যন্ত্রের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে কাজ করার ক্ষমতার মধ্যে। মানুষ যেখানে কিছুক্ষণ কাজ করলে অথবা একই রকম কাজ একটানা করলে ক্লান্ত হয়ে যায় সেই জায়গায় একটি যন্ত্রের কোনো বিরতির প্রয়োজন হয় না, তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই কাজ নির্ভুলভাবে করে যেতে পারে।


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যন্ত্র বা অ্যাপ্লিকেশনকে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজের উপযোগী করে তোলে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে কাজ করে


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সাধারণত অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করে ফলাফল ও অনুমান জানিয়ে থাকে। মানুষ বেশি কাজ করলে ক্লান্ত হয়ে যায়, বিরতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিরতির প্রয়োজন নেই।একসঙ্গে হাজার হাজার কাজ দ্রুত করার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে নতুন অনেক বিষয় শিখতে পারে। মূলত আগের তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।

নির্ভুল তথ্যের পাশাপাশি মানুষের আদলে বুদ্ধিমত্তা থাকায় সাইবার নিরাপত্তা, ভিডিও গেমস, নকশা, স্মার্ট গাড়ি, ডেটা সেন্টার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে।

No comments:

Post a Comment

বটগাছের বীজ মাটিতে পড়লেই চারা হয় না

বট,অশত্থ এই ধরনের গাছের ফল পাখিরা খেলে পাখির পাকস্থলীতে কয়েক ঘন্টা থাকার পর( নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ও উৎসেচকের উপস্থিতিতে ) ওই বীজ অঙ্কুরোদগমে...