বট,অশত্থ এই ধরনের গাছের ফল পাখিরা খেলে পাখির পাকস্থলীতে কয়েক ঘন্টা থাকার পর( নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ও উৎসেচকের উপস্থিতিতে ) ওই বীজ অঙ্কুরোদগমের উপযোগী হয়। পরে মলের সাথে ওই জারমিনেটেড বীজ বাইরে আসলে তা থেকে চারা বেরোয়। বাইরের স্বাভাবিক পরিবেশে কোন ভাবেই এটা হয় না। তাই পাখি ফল না খেলে এই ধরনের গাছের চারা হওয়া সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত এটাও জানা দরকার যে ওই গাছের ফল খায়,টিয়া জাতীয় এমন পাখি যদি পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়,তবে বট,অশত্থ গাছ ও পৃথিবী থেকে
জানা ভালো
Sunday, September 22, 2024
বটগাছের বীজ মাটিতে পড়লেই চারা হয় না
Friday, September 13, 2024
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাকার্থি (John McCarthy) ১৯৫৫ সালে। এজন্য তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জনক বলা হয়। তারও আগে ১৯৫০ সালে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও গণিতবিদ অ্যালান টুরিং (Alan Turing) কোনো যন্ত্রের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাচাই করার জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন যা ‘টুরিং টেস্ট (Turing Test)’ নামে পরিচিত।
মানুষের সাথে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যন্ত্রের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে কাজ করার ক্ষমতার মধ্যে। মানুষ যেখানে কিছুক্ষণ কাজ করলে অথবা একই রকম কাজ একটানা করলে ক্লান্ত হয়ে যায় সেই জায়গায় একটি যন্ত্রের কোনো বিরতির প্রয়োজন হয় না, তা ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই কাজ নির্ভুলভাবে করে যেতে পারে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি, যা তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে যন্ত্র বা অ্যাপ্লিকেশনকে মানুষের বুদ্ধি ও চিন্তাশক্তির আদলে কাজের উপযোগী করে তোলে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে কাজ করে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সাধারণত অ্যালগরিদম ও মেশিন লার্নিং-সুবিধা কাজে লাগিয়ে বিশাল তথ্যভান্ডার বিশ্লেষণ করে ফলাফল ও অনুমান জানিয়ে থাকে। মানুষ বেশি কাজ করলে ক্লান্ত হয়ে যায়, বিরতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বিরতির প্রয়োজন নেই।একসঙ্গে হাজার হাজার কাজ দ্রুত করার পাশাপাশি খুব অল্প সময়ে নতুন অনেক বিষয় শিখতে পারে। মূলত আগের তথ্য বিশ্লেষণ করেই বিভিন্ন সেবা দিয়ে থাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি।
নির্ভুল তথ্যের পাশাপাশি মানুষের আদলে বুদ্ধিমত্তা থাকায় সাইবার নিরাপত্তা, ভিডিও গেমস, নকশা, স্মার্ট গাড়ি, ডেটা সেন্টার ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে।
Thursday, September 12, 2024
সংখ্যার জাদু
আপনি মনে মনে ৩ অঙ্কের একটি সংখ্যা ধরুন। যার প্রতিটি অঙ্ক একই( যেমন ১১১, ৪৪৪) ।
অঙ্ক তিনটি আলাদা ভাবে যোগ করুন, যোগফল মনে রাখুন
এবার আপনার সংখ্যাটিকে আপনার মনে রাখা যোগফল দিয়ে ভাগ করুন।
আপনার উত্তর/ভাগফল হচ্ছে ৩৭।
এবার ১ থেকে ২০এর মধ্যে একটি সংখ্যা মনে মনে ধরুন
আপনার ধরা সংখ্যাটির সাথে ১ যোগ করুন
এবার সেই যোগফলকে দ্বিগুন করুন (মানে দুই দিয়ে গুন করুন)
দ্বিগুন করা সংখ্যার সাথে ৪ যোগ করুন
এবার যোগফলকে দুই দিয়ে ভাগ করুন
আপনার শুরুর নাম্বার টিকে আগের ধাপে পাওয়া সংখ্যা থেকে বিয়োগ করুন
আপনার বিয়োগফল হচ্ছে ৩।
যে কোন একটি নাম্বার কল্পনা করুন
সংখ্যাটিকে ৩ দিয়ে গুন করুন
এবার গুনফলের সাথে ৬ যোগ করুন
এখন এই যোগফল থেকে আপনার কল্পনা করা সংখ্যাটি বিয়োগ করুন
আপনার বিয়োগফল হচ্ছে ২,
১ থেকে ১০ এর মধ্যে একটি সংখ্যা ধরুন
সংখ্যাটিকে ৯ দিয়ে গুন করুন
সংখ্যার অঙ্কগুলি যোগ করুন
এবার যোগফলের সাথে ৪ যোগ করুন
আপনার ফলাফল ১৩ :)
ইলিশ
দেশের মোট মাছ উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশই ইলিশ মাছ এবং জিডিপিতে এর অবদান প্রায় ১ শতাংশ।
জেলেরা বছরে ৬ লাখ টন ইলিশ মাছ ধরে, যার বেশিরভাগই আসে সমুদ্র থেকে। ২০১৭ সালে ইলিশ বাংলাদেশের একটি ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
Friday, June 28, 2024
কসমেটিকসের আড়ালে বোবা কান্না!
কেরলের মলাপ্পুরম জেলার কালেক্টর শ্রীমতী রানী সোয়ামই….এক ঝাঁক কলেজ ছাত্রীদের সাথে কথা বলছিলেন ।
মহিলার কবজিতে সামান্য একটা ঘড়ি ছাড়া অন্য কোন প্রসাধন নেই । ছাত্রীরা দেখে আশ্চর্য্য হয়ে যায়, যে ওনার মুখের ওপরে সামান্য ফেস পাউডারের স্পর্শ মাত্র নেই ।
কথাবার্তা মূলতঃ ইংরিজিতেই হচ্ছিল । ভদ্রমহিলা দুই তিন মিনিট মাত্র কথা বলেছেন । ওনার প্রতিটি শব্দের মধ্যে দৃঢ় সংকল্পের স্পষ্ট আভাস ।
কথপোকথন হচ্ছিল, — “আপনার নাম ম্যাডাম ?”
— “আমার নাম রানী । সোয়ামই আমার পারিবারিক নাম । আমি ঝাড়খন্ড রাজ্যের মূল নিবাসী । আর কিছু জানতে চাও ?”
ভিড়ের মধ্যে একটি মেয়ে হাত তোলে ।
— “হ্যাঁ, বলো ?”…
— “ম্যাডাম, কিছু মনে করবেন না । আপনি মেকআপ করেন না কেন ?”
প্রশ্ন শুনে কালেক্টর ম্যাডাম হঠাৎ-ই অস্বস্তি বোধ করেন । ওনার মুখের হাসি মিলিয়ে যায় । ছাত্রীরাও চুপ !
ম্যাডাম কালেক্টর টেবিলের ওপর রাখা বোতল থেকে অল্প জল খেয়ে মেয়েটিকে বসার ইঙ্গিত করেন । স্বল্পভাষী কালেক্টর ম্যাডাম বললেন, — “দেখ, তোমার প্রশ্নটা সত্যিই বেশ মুশকিলে ফেলেছে । দু’-এক কথায় এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয় । এর জন্য তোমাদের আমার জীবনের কিছু স্মৃতি ভাগ করে নিতে হবে । তার জন্য হয়তো তোমাদের ব্যস্ত সময়ের থেকে মিনিট দশেক লাগতে পারে । তোমরা কি দশ মিনিট ধৈর্য্য ধরতে রাজি আছ ?”
— “হ্যাঁ হ্যাঁ, ম্যাডাম, আমরা রাজি আছি, আপনি বলুন ।” মেয়েরা সমস্বরে বলে ওঠে ।
— “ঠিক আছে । আমার জন্ম হয়েছিল ঝাড়খন্ড রাজ্যের এক আদিবাসী পরিবারে ।” কালেক্টর ম্যাডাম একবার তাঁর শ্রোতাদের মুখের পানে দৃষ্টি দেন । সকলে আগ্রহ ভরে তাকিয়ে তাঁর দিকে ।
— “আমার জন্ম কোডারমা জেলার এক প্রত্যন্ত আদিবাসী এলাকার একটা ছোট্ট ঝুপড়ির মধ্যে । চারপাশে মাইকা-র খনি ।
— “বাবা মা সেখানেই খনিকের কাজ করতেন । আমার চেয়ে বড় দুই ভাই ছিল, আর একটা ছোট বোন । আমরা সকলেই ঐ ছোট্ট ঝুপড়িটার মধ্যে থাকতাম । বর্ষায় ঝুপড়ির মধ্যে জল ঝরতো, শীতে শিশির । বাবা মা খুবই কম পয়সায় ঐ সব খাদানে কাজ করতেন, কারণ ও ছাড়া অন্য আর কোন কাজ তাঁরা জানতেন না । তবে কাজটা ছিল খুবই নোংরা ।”
— “আমার যখন বছর চারেক বয়স, বাবা – মা, দুই ভাই, সকলেই কেন জানিনা কি এক অজানা অসুখে আক্রান্ত হয়ে বিছানা নিলেন । আচ্ছা, তখন ওঁরা নিজেরাও জানতেন না যে তাঁদের রোগের মূল কারণ হলো ঐ খাদানের বাতাসে মিশে থাকা মাইকা-র ধূলো । আমার বয়স ৫ বছর হতে না হতে এক ভাই মারা গেল রোগে ।”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে কালেক্টর ম্যাডাম চুপ করে থাকেন । রুমাল দিয়ে চোখের জল মোছেন । পুরোনো স্মৃতি সত্যিই কষ্টদায়ী ।
— “বেশিরভাগ দিনই খাবার বলতে জুটতো একটা কি দুটো রুটি আর ভরপেট জল । রোগে ভুগে একসময় দুই ভাইয়েরই মৃত্যু হলো । তোমরা বলবে ডাক্তার দেখানো উচিত ছিল । আমাদের গ্রামে ডাক্তার তো দূরের কথা, একটা স্কুল পর্যন্ত ছিল না । ছিল না কোন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা নিদেনপক্ষে একটা শৌচাগার । বিদ্যুৎ তো ছিলই না । তোমরা কল্পনা করতে পার এমন একটা গ্রামের কথা ?”
— “এর মধ্যেই একদিন বাবা হাড় চামড়া সার, অভুক্ত, আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল টিনের চাদর দিয়ে ঘেরা একটা অভ্র খাদানে । পুরোনো আর গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাদানটা বেশ বদনামও কুড়িয়েছে । লাগাতার খুঁড়তে খুঁড়তে তখন খাদানটা অতলান্ত গভীর । মাটির নিচে শত সহস্র ধারায় ছড়িয়ে পড়েছে তার গভীর গহ্বরের জাল । আমার কাজ ছিল খনির ঐ ছোট ছোট গহ্বরের মধ্যে ঢুকে সেখান থেকে অভ্রের আকরিক তুলে নিয়ে আসা । দশ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েরাই পারে ঐরকম গভীর গর্ত থেকে অভ্রক তুলে আনতে ।”
— “কাজের পর জীবনে সেই প্রথমবার আমি ভরপেট রুটি খেতে পেলাম । কিন্তু, অনভ্যস্ত পেটে সইলো না, ….আমার বমি হয়ে গেল ।”
— “যে বয়সে স্কুলের প্রথম শ্রেণীতে পড়াশোনা করার কথা, সেই বয়সে অন্ধকার গুহার মধ্যে ঢুকে অভ্রক তুলে আনছিলাম ।”
— “বিষাক্ত ধূলোর মধ্যে বদ্ধ জায়গায় নিঃশ্বাস নিতে বাধ্য হচ্ছিলাম । কতবার অভ্রকের খনি ধ্বসে পড়েছে, ভেতরে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েরা আটকা পড়ে মারা গেছে । না হলে দুরারোগ্য ব্যাধির কামড়ে মারা গেছে । সেটাই তাদের নিয়তি ।”
— “দিনে আট ঘণ্টা কঠিন পরিশ্রম করার পর একবেলা কোনরকমে খাবার জোটানোর মতো পয়সা পাওয়া যেত । নিত্য দিনের ক্ষুধা তৃষ্ণা আর বিষাক্ত ধূলোর মধ্যে শ্বাস নেওয়ার কারণে আমি ধীরে ধীরে অসুস্থ আর নিস্তেজ হয়ে পড়ছিলাম ।”
— “বছর ঘুরতে না ঘুরতে আমার ছোট বোনটাও এসে লাগে খাদানের কাজে । বাবার শরীর একটু জুৎ হতেই তিনিও জুটে যান খাদানের কাজে । এখন সকলে মিলে একসাথে কাজ করার ফলে কাউকেই না খেয়ে থাকতে হয়না ।”
— “তবে কপালের লিখন কে করবে খন্ডন ? সেবার আমার ধূম জ্বর । আমাকে ঘরে রেখে মা বাবা বোন সকলেই গেছে কাজে । আচমকা মুষলধারে বৃষ্টি নামে । খনির ভেতরে শ্রমিকরা কাজ করছিল, জলের তোড়ে খনিতে ধ্বস নামার ফলে হাজার হাজার শ্রমিক চাপা পড়ে মারা যায় । তাদের মধ্যে আমার মা বাবা বোন সকলেই ছিল । আমি পরিবারহারা হলাম ।”
কালেক্টর ম্যাডামের দুই চোখ অশ্রুসজল হয়ে ওঠে । শ্রোতারা বাক্যহারা । অনেকেরই চোখে জল ।
— “মনে রাখতে হবে আমি তখন মাত্র ছ’বছরের শিশু । শেষমেষ আমি গিয়ে পৌঁছই সরকারি অগাতি মন্দিরে । সেখানেই আমার শিক্ষার শুরু । যদিও আমার গ্রামেই আমার অক্ষর জ্ঞান হয়েছিল । আর আজ সেই অভ্রক খাদানের পরিবার – পরিজনহীন মেয়েটাই এখানে আপনাদের সামনে কালেক্টর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ।”
— “বুঝতে পারছি, এখন তোমরা ভাবছ আমার জীবনের এই অতীতের সাথে মেকআপ ব্যবহার না করার কি সম্পর্ক থাকতে পারে, তাই তো ?”
— “পরবর্তী সময়ে শিক্ষা গ্রহণের কালখন্ডে আমি জানতে পারি যে ছোটবেলায় সেই বিপজ্জনক ছোট ছোট অন্ধকার গুহার ভেতরে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে যে অভ্রক আমি তুলে আনতাম সেগুলো আসলে মেকআপ সামগ্রী তৈরীর কাজে লাগে ।”
— “অভ্রক আদতে মুক্তর মতো একটা খনিজ সিলিকেট । বড়ো বড়ো প্রসাধনী বস্তু প্রস্তুতকারী দেশী বিদেশী কোম্পানিগুলো তাদের প্রডাক্টের মধ্যে চামড়ায় একটা চমকদার জেল্লা বা ‘গ্লেজ্’ ফুটিয়ে তোলার জন্য মিশিয়ে থাকে । কসমেটিকস্ কম্পানিগুলোর ভাঁড়ারে নিয়মিত অভ্রকের যোগান দেয় ঐ আমার মতোই ২০,০০০ ছোট – ছোট বাচ্চা – বাচ্চা ছেলেমেয়েরা । গোলাপ কোমল সেই শিশুদের ফুলের মত জীবনের রক্ত মাংস পাথরে থেঁতলে তবেই না অভ্রক মানুষের গালের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে !”
— “আজও আমাদের চামড়ার সুন্দরতা বাড়ানোর জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য থেকে বঞ্চিত ছোট ছোট বাচ্চাদের হাত দিয়ে তুলে আনা লক্ষ লক্ষ টাকার অভ্রকের ব্যবহার কসমেটিকস্ কম্পানিগুলো করে চলেছে ।”
— “আমার যা বলার ছিল তোমরা শুনলে । এবার বলো তো আমি কি করে সৌন্দর্য্য প্রসাধনী ব্যাবহার করি ? বাবা মা ভাই বোন সকলকেই অভ্রকের খনি গ্রাস করে নিল । যে মায়ের গায়ে কোনদিন ছেঁড়া কাপড় ছাড়া অন্য কিছু দেখলাম না, তার স্মৃতি মাথায় নিয়ে আমি কি করে রেশমী শাড়ি পড়ে ঘুরি ?”
কালেক্টর ম্যাডাম রানী সোয়ামই নিজের কাজে চলে গেলেন । কলেজের ছাত্রীরা স্থানু হয়ে বেশ কিছু সময় সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর তারাও নিজেদের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।
(আজও ঝাড়খন্ডের উচ্চ গুণমান সমৃদ্ধ অভ্রকের খনি থেকে হাজার হাজার বাচ্চা স্কুলে না গিয়ে অভ্রক তোলার কাজে লেগে আছে । তারা হয় রোগে ভুগে, নয় না খেতে পেয়ে অপুষ্টিতে কষ্ট বা ভূ-স্খলনে মাটি চাপা পড়ে মারা যায় ।)
এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে । দিন মাস বছর ঘুরেছে । সেই কালেক্টর ম্যাডাম এখন ভারত গণরাজ্যের প্রথম নাগরিক ।
*মহামহিম রাষ্ট্রপতি*
*শ্রীমতী দ্রৌপদী মুর্মু ।*
*ভারত গণরাজ্যের রাষ্ট্রপতি ।*
এ পি জে আব্দুল কালাম
এ পি জে আব্দুল কালামকে নিয়ে আমার আগ্রহ অনেকদিনের। তাঁর লিখা প্রায় সব বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। মাস তিনেক আগে পড়ছিলাম তাঁর 'টার্নিং পয়েন্টস'। এয়ারপোর্টে। খুব ভোরের ফ্লাইট। কিন্তু লেইট। কবে ছাড়বে বোঝা যাচ্ছেনা। আমার সময় কাটছে 'টার্নিং পয়েন্টস' নিয়ে। পাশে এক ভদ্রলোক বসা। বেশ সজ্জন।হঠাৎ নিজে থেকেই জিজ্ঞেস করলেন, কালাম সাহেব জীবনের টার্নিংগুলো দেখেছেন?? কী টান টান!! এন্ড হি ওয়াজ আ গিফটেড পারসন।
বললাম, হা, নয়তো, মাঝির সন্তান থেকে এত বড় বিজ্ঞানী, তারপর ভারতের রাষ্ট্রপতি ---------
উত্তর এলো, বিজ্ঞানী কালাম, রাষ্ট্রপতি কালাম, আঠারোটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা পদক পাওয়া কালাম, আটটি ডক্টরেট পাওয়া কালামকে বুঝতে হলে শুধু তাঁর নিজের লেখা বই পড়লে হবে না।
মানে বুঝলাম না- একটু অবাক হই।
না, মানে, বড় মানুষেরা নিজেদের 'বড়ত্ব' নিজের লেখা বইতে কখনো লিখেন না।কালাম আসলে যতোটা না বিজ্ঞানী, রাষ্ট্রপতি , শিক্ষাবিদ , তার চাইতে বেশী হচ্ছেন একজন সাধু। আ রিয়েল সেইন্ট।
কীভাবে???
তিনি হাসলেন, তিনটা বই এর নাম লিখুন,
১। The Kalam Effect: My Years With The President by P M Nair.
২।What Can I Give?: Life lessons from My Teacher - Dr A.P.J. Abdul Kalam – Srijan Pal Singh
৩।A P J Abdul Kalam- A Life---Arun Tiwari
তারপর বললেন এগুলো পড়লে বুঝবেন।
এভাবেই ইরতিয়াজ ভাই এর সাথে পরিচয়। লন্ডন থাকেন। একটা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকে কাজ করেন। বড় ধরণের কাজ, সেটা বিজনেস কার্ড বলছে।
বাতিঘরে'র অসাধ্য কিছুই নেই। তাঁরা ক'দিন আগে আউট অব প্রিন্ট একটি বই, গাদ্দাফির ব্যক্তিগত পাইলটের লিখা-- বিলেতের পুরানো বই এর দোকান থেকে এনে দিয়েছেন। তাঁদের জন্য তো এ তিনটা বই কোন ব্যাপারই না।
গত দু'মাস এ তিন বই নিয়ে ডুব মারলাম। সবচে, কষ্ট দিলো শেষেরটা।লেখক অরুণ তেওয়ারি ছিলেন ড. কালামের বিজ্ঞানী সহকর্মী। তাই এতে তিনি তাঁর গুরুর বৈজ্ঞানিক কাজের বিস্তারিত লিখেছেন, দাঁত ভাংগা সায়েন্স।এর মধ্য থেকে পরিস্কার হয়ে আসছেন, 'সাধু" ড. কালাম। একদিকে তিনি মিজাইল বানাচ্ছেন, অন্যদিকে বানাচ্ছেন পোলিও আক্রান্ত বাচ্চাদের জন্য সহজলভ্য কৃত্রিম পা। বাকী দুটো বই বেশ সহজ।
তিনটা বই শেষ করে ইরতিয়াজ ভাইকে ইনবক্স করলাম, "দা সেইন্ট ইজ ডিসকভার্ড।"
তিনি জবাব দিলেন,হোয়াট ইম্প্রেসড ইউ মোস্ট?
আমি লিখলাম,২০০৬ সালে 'প্রমুখ স্বামী মহারাজের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ ।
এত কিছু বাদ দিয়ে ওটা কেন?? ইরতিয়াজ ভাই এর বিস্মিত ইনবক্স।
কারণ তাঁর প্রার্থনা, আমার ছোট্ট উত্তর।
কী প্রার্থনা?? প্লিজ মনে করিয়ে দিন।
সে রাতে তিনি স্বামীজীর কাছে আবেদন করেছিলেন, 'আপনি প্রার্থনা করুন, আমি যেন ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে বক্তৃতা দিতে দিতে মারা যাই।"
নয় বছর পর, ২৭ জুলাই,২০১৫ সালে শিলং এ ছাত্রদের সামনে বক্তৃতা দেয়ার সময়ই ড. কালাম হৃদ যন্ত্র বন্ধ হয়ে মারা যান।
কিন্তু এটা কেন আপনাকে এত টানলো, তাঁর অন্য সব ছেড়ে??? ইরতিয়াজ ভাই এর প্রবল বিস্ময়।
কারণ, আমি অতি তুচ্ছ মানুষ, কিন্তু সব মানুষের প্রভুর কাছে চাইবার অধিকার সমান। প্রেসিডেন্ট কালামের যে অধিকার, আমার ও তাই। পরম করুণাময়ের কাছে সবাই সমান।
তারপর??? ইরতিয়াজ ভাই এর তাৎক্ষণিক ইনবক্স।
আমি ছোট, অতি নগন্য হলেও এটা পড়ার পর আমার মনে হয়েছে, যে বয়সেই হোক, আমি যেন আই হ্যাভ আ ড্রিম অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে কথা বলতে বলতে চলে যাই!!!!!!
Mohammad Abu Hanefa
source: https://www.facebook.com/groups/905458924023335/permalink/991139732121920/?mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
Monday, November 13, 2023
ভুলোমনা কাজী মোতাহার হোসেন
কাজী নজরুল ইসলাম ঢাকায় আসেন। থাকবেন কোথায়, আড্ডায়ই–বা জমবে কোনখানে? কেন, কাজী মোতাহার হোসেন আছেন না! দিনভর আড্ডা চলে কবি আর শিক্ষকে। সঙ্গে দাবার আসর। কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন ডাকসাইটে দাবাড়ু। উপমহাদেশের সেরা দাবাড়ুদের একজন। অবিভক্ত বাংলায় এবং পূর্ব পাকিস্তানে টানা ৩১ বছর আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন ছিলেন তিনি। বই পড়তে ভালোবাসতেন। লিখেছেনও বিস্তর। তাঁর লেখালেখি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা জুগিয়েছে। লিখেছেন বিজ্ঞানবিষয়ক বইও। তাঁর বিখ্যাত দুটি বই হলো আলোকবিজ্ঞান ও গণিতশাস্ত্রের ইতিহাস।
এমন প্রতিভাধর মানুষ অথচ আপাদমস্তক ভুলোমনা ছিলেন। এমনকি নিজের আত্মীয়স্বজনকেও অনেক সময় চিনতে পারতেন না। তাই বলে নিজের মেয়েকেও! তিনি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তাঁর মেয়ে সন্জীদা খাতুনও তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কাজী মোতাহার হোসেনের ভালো গুণ ছিল, তিনি ছোট-বড় যে-ই হোক, পরিচিত মানুষ দেখলেই সালাম দিতেন। একদিন সন্জীদা খাতুনকেও সালাম দিলেন তিনি ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন করে। তারপর মেয়ের দিকে না তাকিয়ে সোজা চলে গেলেন নিজের অফিসে।
সন্জীদা খাতুন ভীষণ রেগে গেলেন, ভাবলেন বাবা বুঝি তাঁর সঙ্গে মশকরা করছেন। মায়ের কাছে নালিশ করলেন বাবার বিরুদ্ধে, ‘বাবা আমাকে দেখেও সালাম দেয়, সম্মান দেখায়, না চেনার ভান করে।’ মোতাহার হোসেনের স্ত্রী তাঁকে বললেন, ‘মেয়ে অভিযোগ করেছে, তুমি নাকি ম্যাডাম-ট্যাডাম ডেকে ওকে সালাম দিয়েছ?’
কাজী মোতাহার হোসেন প্রথমে অবাক হলেন, তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘ও, ওটা সন্জীদা ছিল! তাই তো বলি, চেনা চেনা লাগছিল কেন?’
source: https://www.kishoralo.com/4j20569ie7
বটগাছের বীজ মাটিতে পড়লেই চারা হয় না
বট,অশত্থ এই ধরনের গাছের ফল পাখিরা খেলে পাখির পাকস্থলীতে কয়েক ঘন্টা থাকার পর( নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ও উৎসেচকের উপস্থিতিতে ) ওই বীজ অঙ্কুরোদগমে...
-
Q: How can I tell if a mobile number belongs to STC, Mobily or Zain? • STC numbers begin with 050, 053 and 055; • Mobily numbers beg...
-
Type: TR<space>Train No and Send To 16318 To Track Your Train Mail/Express Trains From Joydebpur